এক তালাকের নিয়তে তিনবার "তালাক" বলা
প্রশ্নঃ ১৩০২২৫. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, আমি জানতে চাচ্ছি কোনো স্বামী যদি তার স্ত্রীকে এক তালাকের উদ্দেশ্যে এক তালাক,এক তালাক,এক তালাক এরকম তিনবার বলে তাহলে এক তালাকের হুকুম অনুযায়ী হবে কিনা??
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
প্রিয় দ্বীনী ভাই, ফুকাহায়ে কেরাম স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন যে, যদি কোনো ব্যক্তি স্পষ্ট শব্দের মাধ্যমে তার স্ত্রীকে তালাক দেয়, তবে সর্বাবস্থায়ই তালাক কার্যকর হয়ে যায়। চাই তালাক দেওয়ার নিয়ত থাকুক বা না থাকুক। আর সে যতবার তালাকের শব্দ উচ্চারণ করবে, ততটি তালাকই পতিত হবে।
এ অবস্থায় স্ত্রী তার জন্য হারাম হয়ে যাবে। এখন এই দু’জনের জন্য শরঈ পদ্ধতি ব্যতীত একসঙ্গে দাম্পত্য জীবনযাপন করা কোনোভাবেই বৈধ নয়।
তালাক দেওয়া স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার শরিয়তসম্মত পদ্ধতি নিম্নে রেফারেন্সে দেওয়া হল।
قال اللہ تبارک وتعالی: فَإِنْ طَلَّقَہَا فَلَا تَحِلُّ لَہُ مِنْ بَعْدُ حَتَّی تَنْکِحَ زَوْجًا غَیْرَہُ (البقرة: ۳۲)
وإن کان الطلاق ثلاثاً في الحرة․․․لم تحلّ لہ حتی تنکح زوجًا غیرہ نکاحًا صحیحًا ویدخل بہا ثم یطلقہا أو یموت عنہا
(ہندیة: ۱/ ۴۷۳، ط: زکریا)
دارالافتاء، دارالعلوم دیوبند، جواب نمبر: 160905
(فتاوی شامی, کتاب الطلاق،باب صریح الطلاق،ج:3،ص:248،سعید) :
"ولا يلزم كون الإضافة صريحة في كلامه؛ لما في البحر لو قال: طالق، فقيل له: من عنيت؟ فقال: امرأتي، طلقت امرأته. اهـ."
(فتاوی رحیمیہ کتاب الطلاق،ج:8،ص:313،دارالاشاعت)
"طلاق"تین بار بولا گیاہے اس لیے تین طلاق واقع ہونے کا حکم دیا جائےگا ۔باقی یہ کہ اس کی طلاق کی نیت نہیں تو حقیقت یہ ہے کہ لفظ "طلاق"طلاق دینے کے لیے صریح ہے نیت کا محتاج نہیں …….ایسے ہی ڈرانے دھمکانے کی بات قابل قبول نہیں ۔۔۔۔۔۔۔البتہ وقوع طلاق کے لیے اضافت ضروری ہے یعنی نسبت کرنا یعنی نام لے کر یا اشارہ کرکے یا خطاب کرتے ہوئے طلاق کو بیوی کی طرف منسوب کرنا ۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔۔ مثلاًبیوی کا نام ہندہ ہے تو کہے کہ کہ ہندہ کو طلاق یا بیوی کی طرف اشارہ کرتے ہوئے کہے کہ اس کو طلاق یا خطاب کرتے ہوئے تجھے طلاق یا تم کو طلاق ۔لیکن اضافت صریحہ لازم نہیں اضافت معنویہ جو قرائن اور مذاکرہ اور دلالت حال سے ثابت ہو وہ کافی ہے."
دارالافتاء : جامعہ علوم اسلامیہ علامہ محمد یوسف بنوری ٹاؤن, فتویٰ نمبر : 144506101935
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, দারুল কুরআন আল ইসলামিয়া মাদ্রাসা
মুহাম্মদপুর, ঢাকা
রেফারেন্স উত্তর :
প্রশ্নঃ ৮৬১২. আসসালামুআলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ, নিজের স্ত্রী কে কোনো ব্যাক্তি তালাক দিয়ে বিদায় করে দিল আবার যদি আনতে চান শরিয়াতে নিয়ম কি হবে?
উত্তর
و علَيْــــــــــــــــــــكُم السلام ورحمة الله وبركاته
بسم الله الرحمن الرحيم
السلام عليكم ورحمة الله وبركاته
তালাকের কয়েকটি ধরন ও কয়েকটি পর্যায় রয়েছে।
আপনার এই প্রশ্নের উত্তর এককথায় দেয়া সম্ভব নয়।
নিম্নে আমরা তিনটি পর্যায়ে মাসআলা উল্লেখ করছি। আলোচনাগুলো ভালোভাবে পড়ে আপনার প্রশ্নের উত্তর বের করে নিন।
১. নিজের স্ত্রীকে এক طلاق رجعي তালাক রিজঈ দিয়ে থাকে, তাহলে ইদ্দত অতিবাহিত হওয়ার পূর্বে স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার সুযোগ রয়েছে। বিবাহ নবায়ন লাগবে না।
ইদ্দত অতিবাহিত হয়ে গেলে বিবাহ নবায়ন লাগবে।
২. স্ত্রীকে এক অথবা দুই তালাক দিল (তিন তালাক দেয়নি)। তাহলে স্ত্রীকে নতুন মোহর দিয়ে পুনরায় বিবাহ করতে পারবে।
৩. স্ত্রীকে মৌখিক অথবা লিখিতভাবে, একসঙ্গে অথবা ভিন্ন ভিন্নভাবে তিন তালাক দিলে এই স্ত্রীকে ফিরিয়ে আনার সুযোগ বন্ধ হয়ে গেছে। স্ত্রী তিন তালাকের ইদ্দত শেষ করার পর অন্যত্র বিবাহ করে নিলে, দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক হওয়ার পর ঐ স্বামী তালাক দিলে অথবা মারা গেলে তার ইদ্দত শেষ হওয়ার পর ইচ্ছে করলে পূর্বের স্বামীর সঙ্গে পুনরায় নতুন মোহর ধার্য করে বিবাহ করতে পারবে। এ ছাড়া দ্বিতীয় কোনো বিকল্প পথ নেই।
فَاِنۡ طَلَّقَہَا فَلَا تَحِلُّ لَہٗ مِنۡۢ بَعۡدُ حَتّٰی تَنۡکِحَ زَوۡجًا غَیۡرَہٗ ؕ فَاِنۡ طَلَّقَہَا فَلَا جُنَاحَ عَلَیۡہِمَاۤ اَنۡ یَّتَرَاجَعَاۤ اِنۡ ظَنَّاۤ اَنۡ یُّقِیۡمَا حُدُوۡدَ اللّٰہِ ؕ وَتِلۡکَ حُدُوۡدُ اللّٰہِ یُبَیِّنُہَا لِقَوۡمٍ یَّعۡلَمُوۡنَ
অতঃপর সে (স্বামী) যদি (তৃতীয়) তালাক দিয়ে দেয় তবে সে (তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রী) তার জন্য ততক্ষণ পর্যন্ত হালাল হবে না, যতক্ষণ না সে অন্য কোনও স্বামীকে বিবাহ করবে। অতঃপর যদি সে (দ্বিতীয় স্বামী) তাকে তালাক দিয়ে দেয়, তবে তাদের জন্য এতে কোন গুনাহ নেই যে, তারা (নতুন বিবাহের মাধ্যমে) পুনরায় একে অন্যের কাছে ফিরে আসবে শর্ত হল, তাদের প্রবল ধারণা থাকতে হবে যে, (এবার) তারা আল্লাহর সীমা কায়েম রাখতে পারবে। এসব আল্লাহর স্থিরীকৃত সীমা, যা তিনি জ্ঞানবান লােকদের জন্য স্পষ্টরূপে বর্ণনা করছেন।
—আল বাকারা - ২৩০
والله اعلم بالصواب
উত্তর দাতা:
মুফতী ও মুহাদ্দিস, জামিআ মুহাম্মাদিয়া আরাবিয়া, মোহাম্মদপুর
মন্তব্য (0)
কোনো মন্তব্য নেই। প্রথম মন্তব্য করুন!
মন্তব্য করতে লগইন করুন